ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যু, ক্লিনিকের মালিক-ডাক্তার এসকে ঘোষসহ ৪জন কারাগারে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১২:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

“চিকিৎসাসেবা বাদ দিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ডাক্তার এস কে ঘোষ আরিফুল হক ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয় সেজন্য এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত।’ ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হওয়া মামলায় হবিগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ পরে হাসপাতালটির অভিযুক্ত চিকিৎসক এসকে ঘোষ ও পরিচালক আরিফসহ চারজনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।

প্রসঙ্গত, শহরতলীর বহুলা গ্রামের রহিমা খাতুনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য নতুন বাস টার্মিনালের দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাবার পর কর্তৃপক্ষ বলে রহিমার অবস্থা খুবই খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। ওই দিনই ডাক্তার এস কে ঘোষ তার অপারেশন করেন। এরপর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। কয়েকদিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর রিলিজ দেয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে জরায়ূর রগ কেটে ফেলা হয়েছে তার। তাছাড়া তার দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আরেকটি রয়ে গেছে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর রহিমা গত ১৫ অক্টোবর বিকালের দিকে মারা যান।

এ ঘটনায় রহিমার চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে ডাক্তার এস কে ঘোষ, আরিফুল হক, সিদ্দিকী জনি ও তাবির হোসেইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে রুজু করেন।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যু, ক্লিনিকের মালিক-ডাক্তার এসকে ঘোষসহ ৪জন কারাগারে

আপডেট সময় ১২:৫৮:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩

“চিকিৎসাসেবা বাদ দিয়ে চিকিৎসকরা রোগীদের নিয়ে ব্যবসা খুলে বসেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ডাক্তার এস কে ঘোষ আরিফুল হক ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ব্যবসা থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয় সেজন্য এ বার্তা জাতির কাছে যাওয়া উচিত বলেও মনে করেন আদালত।’ ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে হওয়া মামলায় হবিগঞ্জ শহরের বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত দি জাপান বাংলাদেশ হাসপাতালের (ক্লিনিক) মালিক ও ডাক্তারসহ চারজনের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি বশির উল্লার দ্বৈত বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, ‘ভুক্তভোগীদের সেবার নামে সিন্ডিকেটের কবলে চিকিৎসা ব্যবস্থা। আগে দেখতাম পরিবারের কোনো সদস্য ডাক্তার হলে তাদের আত্মীয়স্বজনরা ক্লিনিক খুলতেন। এখন ডাক্তারের পরিবার নয়, যে কেউ ক্লিনিকের ব্যবসা করছেন। তাছাড়া সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালদের মাধ্যমে ক্লিনিকে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’ পরে হাসপাতালটির অভিযুক্ত চিকিৎসক এসকে ঘোষ ও পরিচালক আরিফসহ চারজনকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি।

প্রসঙ্গত, শহরতলীর বহুলা গ্রামের রহিমা খাতুনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য নতুন বাস টার্মিনালের দি জাপান হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাবার পর কর্তৃপক্ষ বলে রহিমার অবস্থা খুবই খারাপ। জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন করতে হবে। ওই দিনই ডাক্তার এস কে ঘোষ তার অপারেশন করেন। এরপর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। কয়েকদিন থাকার পর কিছুটা সুস্থ হলে ১৩ সেপ্টেম্বর রিলিজ দেয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে যাবার পর তার অবস্থার আরও অবনতি হয়। অপারেশনের স্থান দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। এক পর্যায়ে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে জরায়ূর রগ কেটে ফেলা হয়েছে তার। তাছাড়া তার দুটি টিউমারের বদলে একটি টিউমার অপারেশন করা হয়েছে। আরেকটি রয়ে গেছে। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের পর রহিমা গত ১৫ অক্টোবর বিকালের দিকে মারা যান।

এ ঘটনায় রহিমার চাচাতো ভাই রহমত আলী বাদি হয়ে ডাক্তার এস কে ঘোষ, আরিফুল হক, সিদ্দিকী জনি ও তাবির হোসেইনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচারক মামলা আমলে নিয়ে রুজু করেন।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420