ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ সিলেট জেলার শ্রেষ্ট জয়িতা

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ৪৬৮ বার পড়া হয়েছে

লেখনীর মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেট জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি এবং চ্যানেল আই ও জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ। তিনিসহ পাঁচজন পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পান।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ৫ জনকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী।

জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা হলেন- অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী শিপারা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী আদরী রানী দাস, সফল জননী সিনারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমী নারী ফারহানা আক্তার ঝুমি। সুবর্ণা হামিদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটে।

পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি লেখনীর মাধ্যমে এমন কিছু কাজ করেছেন, যা সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। বাল্য বিবাহ নিরোধ, যৌতুক প্রথা নির্মূল, বিবাহ বিচ্ছেদ বন্ধের পাশাপাশি নারী সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, সমাজে চরমভাবে অবহেলিত, নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার ও পিছিয়ে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে তিনি নিয়মিত সংবাদ করেন। তার এই সংবাদগুলো দেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন সমাজের অবহেলিত মানুষ। সুবর্ণা হামিদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি রক্তদান এবং রক্ত সংগ্রহ করে মানুষজনকে সহযোগিতা করেন।

তিনি সিলেট ব্লাড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও দুস্থ নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন গ্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য নিয়মিত ভাবে কাজ করছেন।

তিনি সাংবাদিকতায় বিভিন্ন সময় পাঁচটি সম্মাননা অর্জন করছেন। এরমধ্যে রয়েছে, ২০০৮ সালে ‘জালালাবাদ রোটারি ক্লাব এ্যাওয়াড’, ২০১০ সালে জাতীয় পর্যায় থেকে ‘কীর্তিমতি সাংবাদিক সম্মাননা’ ও এক লাখ টাকা পুরস্কার, ২০১১ সালে সিলেটের ‘পারমিতা সম্মাননা’, ২০২১ সালে হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে ‘ইউএসএইড সম্মাননা’ ও ২০২৩ সালে ‘সমষ্টি সম্মাননা’ পেয়েছেন।

সম্মাননা প্রাপ্ত সুবর্ণা হামিদ বলেন, আমি মনে করি সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে হলে নিজের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তাহলে যেকেউ যার যার পেশাগত জায়গা থেকে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। আমি চেষ্টা করেছি সংবাদ প্রকাশ করে মানুষজনকে সাহায্য করতে। বিভিন্ন সময় আমার সেই চেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। আমার নিউজ পড়ে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজে চরমভাবে অবহেলিত, নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার মানুষদের। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ সিলেট জেলার শ্রেষ্ট জয়িতা

আপডেট সময় ০৯:১৪:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

লেখনীর মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় সিলেট জেলায় শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা পেয়েছেন সিলেট উইমেনস জার্নালিস্ট ক্লাবের সভাপতি এবং চ্যানেল আই ও জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ। তিনিসহ পাঁচজন পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা পান।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে ৫ জনকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী।

জয়িতা সম্মাননা প্রাপ্ত নারীরা হলেন- অর্থনৈতিক ভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী শিপারা বেগম, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী সাংবাদিক সুবর্ণা হামিদ, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী আদরী রানী দাস, সফল জননী সিনারা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমী নারী ফারহানা আক্তার ঝুমি। সুবর্ণা হামিদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটে।

পেশাগত দায়িত্বের জায়গা থেকে তিনি লেখনীর মাধ্যমে এমন কিছু কাজ করেছেন, যা সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। বাল্য বিবাহ নিরোধ, যৌতুক প্রথা নির্মূল, বিবাহ বিচ্ছেদ বন্ধের পাশাপাশি নারী সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান, সমাজে চরমভাবে অবহেলিত, নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার ও পিছিয়ে থাকা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে তিনি নিয়মিত সংবাদ করেন। তার এই সংবাদগুলো দেখে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহযোগিতা পেয়েছেন সমাজের অবহেলিত মানুষ। সুবর্ণা হামিদ সাংবাদিকতার পাশাপাশি রক্তদান এবং রক্ত সংগ্রহ করে মানুষজনকে সহযোগিতা করেন।

তিনি সিলেট ব্লাড ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহসভাপতি হিসেবে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজের অসহায় ও দুস্থ নারীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাঁদের স্বাবলম্বী করতে বিভিন্ন গ্রেডে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আত্মনির্ভরশীল করার জন্য নিয়মিত ভাবে কাজ করছেন।

তিনি সাংবাদিকতায় বিভিন্ন সময় পাঁচটি সম্মাননা অর্জন করছেন। এরমধ্যে রয়েছে, ২০০৮ সালে ‘জালালাবাদ রোটারি ক্লাব এ্যাওয়াড’, ২০১০ সালে জাতীয় পর্যায় থেকে ‘কীর্তিমতি সাংবাদিক সম্মাননা’ ও এক লাখ টাকা পুরস্কার, ২০১১ সালে সিলেটের ‘পারমিতা সম্মাননা’, ২০২১ সালে হিজড়াদের নিয়ে কাজ করে ‘ইউএসএইড সম্মাননা’ ও ২০২৩ সালে ‘সমষ্টি সম্মাননা’ পেয়েছেন।

সম্মাননা প্রাপ্ত সুবর্ণা হামিদ বলেন, আমি মনে করি সমাজ উন্নয়নে কাজ করতে হলে নিজের সদিচ্ছা প্রয়োজন। তাহলে যেকেউ যার যার পেশাগত জায়গা থেকে সমাজ উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবেন। আমি চেষ্টা করেছি সংবাদ প্রকাশ করে মানুষজনকে সাহায্য করতে। বিভিন্ন সময় আমার সেই চেষ্টায় সফলতা পেয়েছি। আমার নিউজ পড়ে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সমাজে চরমভাবে অবহেলিত, নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার মানুষদের। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420