ঢাকা ১০:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘কেউ আপনাকে ভালোবাসে’ এই অনুভূতি মনে আনন্দ জাগায়

সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়

প্রেমের প্রথম অবস্থায় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

সঙ্গীকে নিয়ে নানান স্বপ্ন ও জীবন পরিকল্পনা করা অস্বাভাবিক বা দোষের নয়।

তবে সব কিছুর পরেও সচেতন থাকা জরুরি। নতুন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে ইতিবাচক অনুভূতি বজায় রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।

হেলথ শটশ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নতুন সম্পর্কে করা যাবে এবং করা যাবে না এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানান ভারতের গুরুগাঁওয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল রাজ কাক্কার।

রোমান্টিক সম্পর্কের ৫ ধাপ

প্রেমের প্রথম অবস্থায় কী করা যাবে আর করা উচিত হবে না- সেটার বোঝা প্রয়োজন যে, রোমান্টিক সম্পর্কের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে।

আকর্ষণ

হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের গুরুগাঁওয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল রাই কাক্কার বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক, মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক দিকগুলোর ক্ষেত্রে মানুষ টান অনুভব করে।”

মোহ

এই পর্যায়ে মানুষ তীব্র প্রশংসা ও উত্তেজনা অনুভব করে। এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঙ্গীর আদর্শের সাথে সম্পর্কিত।

অন্বেষণ

এটা এমন একটা পর্যায় যখন একে অপরকে আরও গভীরভাবে জানার চেষ্টা করে। ব্যক্তিগত ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং জীবনের লক্ষ্যগুলো সহভাগিতা করে। এটা বন্ধন তৈরিতে সহায়তা করে।

প্রতিশ্রুতি

এই পর্যায়ে সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। আর একে অপরের কাছে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। নিজেদেরকে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

অন্তরঙ্গতা

এই পর্যায়ে মানসিক ও শারীরিক ঘনিষ্টতা গভীর হয়। যোগাযোগ বাড়ে। একে অপরের প্রতি দুর্বলতা অনূভব করেন।

 

 

নতুন সম্পর্কে যা করা যাবে ও যা করা যাবে না

স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক রক্ষায় যা করণীয়

যোগাযোগ

সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে খোলামেলা ও সৎ যোগাযোগ রাখা জরুরি। সঙ্গীর সাথে চিন্তা, অনুভূতি ও প্রত্যাশা ভাগাভাগি করা প্রয়োজন।

সীমারেখাকে সম্মান করা

সঙ্গীর সাথে ভাগাভাগি করা ভালো। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত বোধ ও সীমারেখার প্রতি সম্মানবোধ রাখতে হবে। একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা অঙ্গীকার রক্ষার পথের বাধা কমায়।

এর ফলে মানসিক চাপ কম কমে ও মানসিক সুস্থতার জন্য স্বায়ত্বশাসন বজায় থাকে। স্বায়ত্বশাসন ব্যক্তির পরিচয় ও ব্যক্তিগত স্থান সংরক্ষিত রাখতে আবশ্যক।

বিশ্বাস স্থাপন

সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠা আর তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

গুণগত সময়

নতুন সঙ্গীর সাথে গুণগত সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এটা সুদৃঢ় মানসিক যোগাযোগ সৃষ্টি করে বলে জানান, ডা. কাক্কার।

প্রশংসা করা

সঙ্গীর গুণাবলী ও প্রচেষ্টার মূল্যায়ণ করা এবং তার প্রশংসা প্রকাশ করা উচিত। এর জন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান বা দিনের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

প্রশংসা করা ও একসাথে মান সম্মত সময় কাটানো মানসিক অন্তরঙ্গতা বাড়ায়। এটা ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য তৈরিতে সহায়ক।

 

 

যা করা ঠিক নয়

অনুমান এড়িয়ে চলা

সঙ্গীর চিন্তা বা অনুভূতি অনুমান করা ঠিক নয়। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন জাগলে সেটা নিয়ে খোলামেলা কথা বলা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

তাড়াহুড়া

সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হতে দেওয়া উচিত। তাড়াহুড়া করে কোনো প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হওয়া ঠিক না। মনে রাখতে হবে, ধীর চিত্ত বরাবরই বিজয়ী হয়।

নিজের প্রতি অবহেলা

সম্পর্কে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে নিজের প্রতি অবহেলা করলে চলবে না। ব্যক্তিগত যত্ন ও সম্পর্ক- এই দুয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

তুলনা করা

অন্যের সাথে সঙ্গীর তুলনা করা ঠিক নয়। এতে করে নিতাপত্তাহীনতা ও বিরক্তি বাড়ে।

বিপদ উপেক্ষা করা

সম্পর্কে কোনো সতর্কতার লক্ষণ দেখা দিলে, সেটার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় সময়ের সাথে সাথে অবহেলা, বিরক্তি বা অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কে আটকা পড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

মনে রাখতে হবে

নতুন সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। স্পষ্ট যোগাযোগ, সীমানা স্থাপন, নিরাপত্তা ও সম্ভাবনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কমায়।

স্থিতিশীল ও অনুকূল পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্যের অবদান রয়েছে।

এই নিয়মগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেয়। আর নতুন সম্পর্কে জটিলতা নিরসনে সহায়তা করে।

আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

‘কেউ আপনাকে ভালোবাসে’ এই অনুভূতি মনে আনন্দ জাগায়

সম্পর্কের জটিলতা এড়াতে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়

আপডেট সময় ০২:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রেমের প্রথম অবস্থায় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

সঙ্গীকে নিয়ে নানান স্বপ্ন ও জীবন পরিকল্পনা করা অস্বাভাবিক বা দোষের নয়।

তবে সব কিছুর পরেও সচেতন থাকা জরুরি। নতুন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে ইতিবাচক অনুভূতি বজায় রাখতে কিছু বিষয় মাথায় রাখা দরকার।

হেলথ শটশ ডটকমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে নতুন সম্পর্কে করা যাবে এবং করা যাবে না এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানান ভারতের গুরুগাঁওয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল রাজ কাক্কার।

রোমান্টিক সম্পর্কের ৫ ধাপ

প্রেমের প্রথম অবস্থায় কী করা যাবে আর করা উচিত হবে না- সেটার বোঝা প্রয়োজন যে, রোমান্টিক সম্পর্কের বিভিন্ন ধাপ রয়েছে।

আকর্ষণ

হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতের গুরুগাঁওয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রাহুল রাই কাক্কার বলেন, “প্রাথমিক পর্যায়ে শারীরিক, মানসিক বা বুদ্ধিবৃত্তিক দিকগুলোর ক্ষেত্রে মানুষ টান অনুভব করে।”

মোহ

এই পর্যায়ে মানুষ তীব্র প্রশংসা ও উত্তেজনা অনুভব করে। এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সঙ্গীর আদর্শের সাথে সম্পর্কিত।

অন্বেষণ

এটা এমন একটা পর্যায় যখন একে অপরকে আরও গভীরভাবে জানার চেষ্টা করে। ব্যক্তিগত ইতিহাস, মূল্যবোধ এবং জীবনের লক্ষ্যগুলো সহভাগিতা করে। এটা বন্ধন তৈরিতে সহায়তা করে।

প্রতিশ্রুতি

এই পর্যায়ে সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্ব পায়। আর একে অপরের কাছে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়। নিজেদেরকে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।

অন্তরঙ্গতা

এই পর্যায়ে মানসিক ও শারীরিক ঘনিষ্টতা গভীর হয়। যোগাযোগ বাড়ে। একে অপরের প্রতি দুর্বলতা অনূভব করেন।

 

 

নতুন সম্পর্কে যা করা যাবে ও যা করা যাবে না

স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক রক্ষায় যা করণীয়

যোগাযোগ

সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে খোলামেলা ও সৎ যোগাযোগ রাখা জরুরি। সঙ্গীর সাথে চিন্তা, অনুভূতি ও প্রত্যাশা ভাগাভাগি করা প্রয়োজন।

সীমারেখাকে সম্মান করা

সঙ্গীর সাথে ভাগাভাগি করা ভালো। এর পাশাপাশি ব্যক্তিগত বোধ ও সীমারেখার প্রতি সম্মানবোধ রাখতে হবে। একে অপরের প্রতি সম্মানবোধ ও ব্যক্তিগত সীমারেখা রক্ষা অঙ্গীকার রক্ষার পথের বাধা কমায়।

এর ফলে মানসিক চাপ কম কমে ও মানসিক সুস্থতার জন্য স্বায়ত্বশাসন বজায় থাকে। স্বায়ত্বশাসন ব্যক্তির পরিচয় ও ব্যক্তিগত স্থান সংরক্ষিত রাখতে আবশ্যক।

বিশ্বাস স্থাপন

সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি হল বিশ্বাস। তাই নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠা আর তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন।

গুণগত সময়

নতুন সঙ্গীর সাথে গুণগত সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। এটা সুদৃঢ় মানসিক যোগাযোগ সৃষ্টি করে বলে জানান, ডা. কাক্কার।

প্রশংসা করা

সঙ্গীর গুণাবলী ও প্রচেষ্টার মূল্যায়ণ করা এবং তার প্রশংসা প্রকাশ করা উচিত। এর জন্য কোনো বিশেষ অনুষ্ঠান বা দিনের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই।

প্রশংসা করা ও একসাথে মান সম্মত সময় কাটানো মানসিক অন্তরঙ্গতা বাড়ায়। এটা ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্য তৈরিতে সহায়ক।

 

 

যা করা ঠিক নয়

অনুমান এড়িয়ে চলা

সঙ্গীর চিন্তা বা অনুভূতি অনুমান করা ঠিক নয়। কোনো বিষয়ে প্রশ্ন জাগলে সেটা নিয়ে খোলামেলা কথা বলা সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখে।

তাড়াহুড়া

সম্পর্কে স্বাভাবিকভাবেই বিকশিত হতে দেওয়া উচিত। তাড়াহুড়া করে কোনো প্রতিশ্রুতিতে আবদ্ধ হওয়া ঠিক না। মনে রাখতে হবে, ধীর চিত্ত বরাবরই বিজয়ী হয়।

নিজের প্রতি অবহেলা

সম্পর্কে বেশি মনোযোগ দিতে গিয়ে নিজের প্রতি অবহেলা করলে চলবে না। ব্যক্তিগত যত্ন ও সম্পর্ক- এই দুয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি।

তুলনা করা

অন্যের সাথে সঙ্গীর তুলনা করা ঠিক নয়। এতে করে নিতাপত্তাহীনতা ও বিরক্তি বাড়ে।

বিপদ উপেক্ষা করা

সম্পর্কে কোনো সতর্কতার লক্ষণ দেখা দিলে, সেটার প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। অন্যথায় সময়ের সাথে সাথে অবহেলা, বিরক্তি বা অস্বাস্থ্যকর সম্পর্কে আটকা পড়ার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে।

মনে রাখতে হবে

নতুন সম্পর্কে নির্দেশিকা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। স্পষ্ট যোগাযোগ, সীমানা স্থাপন, নিরাপত্তা ও সম্ভাবনার অনুভূতি সৃষ্টি করে। উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা কমায়।

স্থিতিশীল ও অনুকূল পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে ইতিবাচক মানসিক স্বাস্থ্যের অবদান রয়েছে।

এই নিয়মগুলো মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতাকে অগ্রাধিকার দেয়। আর নতুন সম্পর্কে জটিলতা নিরসনে সহায়তা করে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420