ঢাকা ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেসির ছয় জার্সিতেও উঠল না ম্যারাডেনার এক জার্সির দাম!

আর্জেন্টিনার ফুটবলের কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বিশ্বজুড়ে আছে তার কোটি কোটি ভক্ত। ছিয়াশির বিশ্বজয়ের নায়ক প্রয়াত হলেও তার আবেদন এখনও কমেনি। তার যোগ্য উত্তরসূরি ভাবা হয় লিওনেল মেসিকে। তিনিও আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। গত ডিসেম্বরে মেসির দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ল্যাটিন আমেরিকানদের তিন যুগের অপেক্ষার অবসান হয়।

কাতার বিশ্বকাপে মেসি মোট জার্সি পরেছেন সাতটি। যার ছয়টিই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির সোথেবি নিলামে তোলা হয়েছিল। জার্সিগুলো তিন দফায় দাম বেড়ে বৃহস্পতিবার ৭.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা। বিস্ময়কর হচ্ছে, মেসির ছয়টি জার্সির বিক্রিকৃত অর্থ ম্যারাডোনার একটি জার্সির দাম ছুঁতে পারেনি! তথ্যটি অনেককেই হয়ত চমকে দিতে পারে।

হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও মহা অঘটনের জন্ম দেয় সৌদি আরব। ল্যাটিন জায়ান্টদের ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ওই ম্যাচের জার্সিটিই কেবল নিলামে তোলা হয়নি। বিশ্বকাপে বাকি সব ম্যাচের জার্সি নিউ ইয়র্কের নিলামে তোলা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, মেসির জার্সিগুলো ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নিলামের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।

কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রেকর্ড ভাঙা তো দূরের কথা, খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিলামটির ধারেকাছেও যেতে পারেনি মেসির জার্সিগুলো। ২০২২ সালে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের জার্সি বিক্রি হয়েছিল ১০.১ মিলিয়ন ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সালে এনবিএ ফাইনাল জার্সিটি পরে খেলেছিলেন জর্ডান। গত বছর ওই জার্সিটি অবিশ্বাস্য মূল্যে বিক্রি হয়।

২০২২ সালের আরও একটি আলোচিত নিলাম ছিল। সেখানে ওঠানো হয় ম্যারাডোনার জার্সি। প্রয়াত মহাতারকার জার্সিটি বিক্রি হয় ৯.২৮ মিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যা ফুটবলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া জার্সি। এই জার্সি পরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলেন ম্যারাডোনা। ওই ম্যাচেই হাত দিয়ে গোল করেছিলেন তিনি।

ম্যারাডোনার ওই জার্সির দামের রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না মেসি। নিলাম থেকে পাওয়া আর্জেন্টিনা অধিনায়কের এসব জার্সির বড় একটি অংশ দান করা হবে ধাতব্য প্রতিষ্ঠানে। শিশুদের বিরল রোগের চিকিৎসা ভার বহন করবে নিলাম থেকে প্রাপ্ত এসব অর্থ।

উল্লেখ্য, সোথেবি জানিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলাম চলেছে।

লিওনেল মেসির ৬ জার্সির দাম ডিয়েগো ম্যারাডোনার একটি জার্সির সমান হয়নি

আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

মেসির ছয় জার্সিতেও উঠল না ম্যারাডেনার এক জার্সির দাম!

আপডেট সময় ০৭:০২:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

আর্জেন্টিনার ফুটবলের কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনা। বিশ্বজুড়ে আছে তার কোটি কোটি ভক্ত। ছিয়াশির বিশ্বজয়ের নায়ক প্রয়াত হলেও তার আবেদন এখনও কমেনি। তার যোগ্য উত্তরসূরি ভাবা হয় লিওনেল মেসিকে। তিনিও আর্জেন্টিনাকে উপহার দিয়েছেন বিশ্বকাপ শিরোপা। গত ডিসেম্বরে মেসির দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ল্যাটিন আমেরিকানদের তিন যুগের অপেক্ষার অবসান হয়।

কাতার বিশ্বকাপে মেসি মোট জার্সি পরেছেন সাতটি। যার ছয়টিই যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক সিটির সোথেবি নিলামে তোলা হয়েছিল। জার্সিগুলো তিন দফায় দাম বেড়ে বৃহস্পতিবার ৭.৮ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৬ কোটি টাকা। বিস্ময়কর হচ্ছে, মেসির ছয়টি জার্সির বিক্রিকৃত অর্থ ম্যারাডোনার একটি জার্সির দাম ছুঁতে পারেনি! তথ্যটি অনেককেই হয়ত চমকে দিতে পারে।

হার দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ মিশন শুরু হয়েছিল আর্জেন্টিনার। সেই ম্যাচে পিছিয়ে থেকেও মহা অঘটনের জন্ম দেয় সৌদি আরব। ল্যাটিন জায়ান্টদের ২-১ গোলে হারিয়ে দেয় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। ওই ম্যাচের জার্সিটিই কেবল নিলামে তোলা হয়নি। বিশ্বকাপে বাকি সব ম্যাচের জার্সি নিউ ইয়র্কের নিলামে তোলা হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, মেসির জার্সিগুলো ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট নিলামের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে।

কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। রেকর্ড ভাঙা তো দূরের কথা, খেলাধুলার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নিলামটির ধারেকাছেও যেতে পারেনি মেসির জার্সিগুলো। ২০২২ সালে বাস্কেটবল কিংবদন্তি মাইকেল জর্ডানের জার্সি বিক্রি হয়েছিল ১০.১ মিলিয়ন ডলারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ১৯৯৮ সালে এনবিএ ফাইনাল জার্সিটি পরে খেলেছিলেন জর্ডান। গত বছর ওই জার্সিটি অবিশ্বাস্য মূল্যে বিক্রি হয়।

২০২২ সালের আরও একটি আলোচিত নিলাম ছিল। সেখানে ওঠানো হয় ম্যারাডোনার জার্সি। প্রয়াত মহাতারকার জার্সিটি বিক্রি হয় ৯.২৮ মিলিয়ন ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যা ফুটবলে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া জার্সি। এই জার্সি পরেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিলেন ম্যারাডোনা। ওই ম্যাচেই হাত দিয়ে গোল করেছিলেন তিনি।

ম্যারাডোনার ওই জার্সির দামের রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না মেসি। নিলাম থেকে পাওয়া আর্জেন্টিনা অধিনায়কের এসব জার্সির বড় একটি অংশ দান করা হবে ধাতব্য প্রতিষ্ঠানে। শিশুদের বিরল রোগের চিকিৎসা ভার বহন করবে নিলাম থেকে প্রাপ্ত এসব অর্থ।

উল্লেখ্য, সোথেবি জানিয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিলাম চলেছে।

লিওনেল মেসির ৬ জার্সির দাম ডিয়েগো ম্যারাডোনার একটি জার্সির সমান হয়নি


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420