ঢাকা ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্যুর প্যাকেজ প্রতারণা: বুকিং মানির নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বাসিন্দা জুঁই আক্তার। পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশে মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’-এর ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে আকর্ষণীয় প্রাইজ দেখে আকৃষ্ট হন জুঁই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচ বাবদ দেন ৫৫ হাজার টাকা।

কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছু দিন পরই জুঁই দেখতে পান, ‘ট্রিপকার্ড’-এর অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুঁই। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

Nagad_Ad

সম্প্রতি রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপরেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে ‘ট্রিপকার্ড’।

পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এ জন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকাপয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমনকি টাকা ফেরত চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’-এর মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সব নম্বর বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।

মামলার তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহনাগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি অল্প দামে ট্যুর প্যাকেজ বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। গত এক বছরে চক্রের হাতে দুই শতাধিক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন। সেই চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তারের খবরে বহু ভুক্তভোগী গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ভীড় করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু এবং তার আপন ভাই মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত অ্যাডমিন মো. আমিনুল ইসলাম।

এ সময় তাদের কাছ একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, দুটি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড ও ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেজের দিয়ে বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করতো। এক সঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকেট কাটাসহ সব দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দিত। কম টাকায় সব সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিত।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য চক্রটি রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকায় অফিস নিয়ে প্রতারণা করত। এক এলাকায় অফিস খুলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিত। এরপর দুই মাস আত্মগোপনে থেকে ভিন্ন নামে আরেক এলাকায় একই কাজ করত।’

হারুন অর রশীদ জানান, ‘মূলহোতা অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’ নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।’

যেভাবে প্রতারণার শুরু

অপুর কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’ নামের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। ট্যুরে যাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের নির্ধারিত টাকার পরিমাণের ৪০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে বুকিং নিত চক্রটি। বুকিং মানি প্রতারকরা নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করত। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের ট্যুর প্রসেসিংয়ের জন্য অফিসে ডেকে ট্যুর প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে নিত।

এভাবে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে অফিস পরিবর্তন করে ফেলত। পরে দুই মাস নিজেরা আত্মগোপন করে থাকত। এরপর আবার অন্য নামে ফেসবুকে পেজ খুলে ও ওয়েবসাইট তৈরি করে আবারও প্রতারণা শুরু করত। বুকিং মানির সম্পূর্ণ টাকাই প্রতারক চক্র আত্মসাৎ করত।

এসব প্রতারক চক্রের হাত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যে কোনো ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে।’

তিনি পরামর্শ দেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।’

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ট্যুর প্যাকেজ প্রতারণা: বুকিং মানির নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ

আপডেট সময় ০৫:৪২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানের বাসিন্দা জুঁই আক্তার। পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত একটি কলেজে। সম্প্রতি ভ্রমণের উদ্দেশে মালদ্বীপে যাওয়ার জন্য ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান ‘ট্রিপকার্ড’-এর ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় কম মূল্যে আকর্ষণীয় প্রাইজ দেখে আকৃষ্ট হন জুঁই। এরপর ভিসা ও অন্যান্য খরচ বাবদ দেন ৫৫ হাজার টাকা।

কিন্তু টাকা দেওয়ার কিছু দিন পরই জুঁই দেখতে পান, ‘ট্রিপকার্ড’-এর অফিস বন্ধ। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, তারা অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। নানাভাবে চেষ্টা করেও আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আশায় টাকা দিয়ে প্রতারণার শিকার হন জুঁই। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ।

Nagad_Ad

সম্প্রতি রাজধানীর বনানী থানায় এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপরেটরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ১৯ আগস্ট ফেসবুকের মাধ্যমে কক্সবাজারসহ মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ডে ট্যুর প্যাকেজের বিভিন্ন লোভনীয় অফার দিয়ে আসছে ‘ট্রিপকার্ড’।

পরবর্তীতে কম টাকায় বিদেশে ঘুরতে তিন বন্ধু মিলে ট্যুর প্যাকেজে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং দুবাই যাওয়ার জন্য বুকিং দেন। এ জন্য তারা কয়েক দফায় ব্যাংক ও নগদে প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকা দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকাপয়সা দেওয়ার পরেও বিদেশে আর নিয়ে যায় না। বরং নানাভাবে কালক্ষেপণ করতে থাকে। এমনকি টাকা ফেরত চেয়ে যোগাযোগ করলে কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’-এর মালিক বাদীকে হত্যার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে অফিসসহ যোগাযোগের সব নম্বর বন্ধ করে দেয়। প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী।

মামলার তদন্তে নেমে পর্যটকদের বিশ্বাসকে পুঁজি করে প্রতারণায় জড়িত চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহনাগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটি অল্প দামে ট্যুর প্যাকেজ বিক্রির নামে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে। গত এক বছরে চক্রের হাতে দুই শতাধিক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন। সেই চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তারের খবরে বহু ভুক্তভোগী গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ভীড় করেছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চক্রের মূলহোতা ও প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল আলম ওরফে অপু এবং তার আপন ভাই মো. আহাদ আলম ওরফে তালহা ও প্রতিষ্ঠানের কথিত অ্যাডমিন মো. আমিনুল ইসলাম।

এ সময় তাদের কাছ একটি ল্যাপটপ, ১৪টি পাসপোর্ট, ১০টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, দুটি ল্যান্ডফোন, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি সিপিইউ ডেক্সটপ, পাঁচটি এটিএম কার্ড ও ছয়টি ব্যাংক চেক উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ- ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ট্রিপকার্ড’ নামের কথিত এই ট্যুর অপারেটর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পেজের দিয়ে বিজ্ঞাপন দিত। তারা বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় দিন ও রাত থাকা, হোটেলে বুকিং, এয়ারপোর্ট পিকআপ, ড্রপআপ, গাইডের মাধ্যমে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা করতো। এক সঙ্গে ৪০ জনের ভিসা ও বিমানের টিকেট কাটাসহ সব দায়িত্ব নিজেরাই পালন করার আশ্বাস দিত। কম টাকায় সব সুবিধা দেওয়ার ঘোষণা দিত।’

ডিবিপ্রধান বলেন, ‘সাধারণ মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য চক্রটি রাজধানীর গুলশান, বারিধারা, ধানমন্ডিসহ অভিজাত এলাকায় অফিস নিয়ে প্রতারণা করত। এক এলাকায় অফিস খুলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিত। এরপর দুই মাস আত্মগোপনে থেকে ভিন্ন নামে আরেক এলাকায় একই কাজ করত।’

হারুন অর রশীদ জানান, ‘মূলহোতা অপুর নেতৃত্বে চক্রটি গত ছয় মাসে ৫৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ‘ট্রিপকার্ড’ নামের ওয়েবসাইটের ড্যাশবোর্ডের তথ্যে গত ছয় মাসে শতাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণার তথ্য পেয়েছে।’

যেভাবে প্রতারণার শুরু

অপুর কথিত এই ‘ট্রিপকার্ড’ নামের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ দিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। ট্যুরে যাওয়ার জন্য ওয়েবসাইটের নির্ধারিত টাকার পরিমাণের ৪০ শতাংশ অগ্রিম দিয়ে বুকিং নিত চক্রটি। বুকিং মানি প্রতারকরা নির্ধারিত ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে লেনদেন করত। পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের ট্যুর প্রসেসিংয়ের জন্য অফিসে ডেকে ট্যুর প্যাকেজের সম্পূর্ণ টাকা নিয়ে নিত।

এভাবে মানুষের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে অফিস পরিবর্তন করে ফেলত। পরে দুই মাস নিজেরা আত্মগোপন করে থাকত। এরপর আবার অন্য নামে ফেসবুকে পেজ খুলে ও ওয়েবসাইট তৈরি করে আবারও প্রতারণা শুরু করত। বুকিং মানির সম্পূর্ণ টাকাই প্রতারক চক্র আত্মসাৎ করত।

এসব প্রতারক চক্রের হাত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, ‘যে কোনো ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। আকর্ষণীয় ও কম মূল্যের বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ না হয়ে বৈধ লাইসেন্সধারী ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে সেবা নিতে হবে।’

তিনি পরামর্শ দেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির মাধ্যমে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হলে থানায় মামলা বা অভিযোগ দিতে হবে। এছাড়া নিজের পাসপোর্ট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।’


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420