ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোটের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৫:১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে তাদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সকল বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে।

ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজনদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গোলযোগ হতে পারে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে সে উদ্যোগও নিতে বলেছে ইসি। পরিপত্রে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকেরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন কিংবা অর্থ, পেশীশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন

নির্বাচন সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠান যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং উক্ত নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে ও মেট্রোপলিটন এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে।

একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে। এই টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না—অথবা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না—বা নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করেছে কি না—অথবা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কি না— তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, আচরণবিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে। প্রয়োজনে উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দেবেন। এছাড়াও স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিন দিন অন্তর অন্তর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে নির্দেশ দিতে হবে। প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোনো বিধি বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সদস্যরা সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নির্বাচনী এজেন্টকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং উক্ত বিধান ভঙ্গের দায়ে প্রদেয় শাস্তি বিশেষ করে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলকরণের বিষয় অবগত করানো নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠ

পরিপত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টিম গঠনের সাথে সাথে সদস্যদের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। এই টিম নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, বিধি, নির্বাচনী আচরণবিধি এবং নির্বাচনের সার্বিক বিষয় যথাযথ ও সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি না—তা তদারক করবে ও প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন ও সুসংহত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, এ সেলে অন্যান্য সদস্যরা হবেন পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহযোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনোনীত কর্মকর্তারা।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করে উক্ত সেলের সদস্যদের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। তাছাড়া এ সেল নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এই সেলও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গৃহীত ব্যবস্থাদি ইসি সচিবালয়কে জানাবে। একইভাবে ইসি সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা সেল গঠন করা হবে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কম

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে ব্যবস্থা নিতে ইসির নির্দেশ

আপডেট সময় ০৫:১২:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে তাদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

রোববার ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্রটি সব রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্র এবং ভোটকক্ষের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থাসহ সকল বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার পরিচালনা জোরদার করতে হবে। চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা তৈরি করে চাঁদাবাজ, মাস্তান ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করতে হবে।

ভোটারদের ভোট দিতে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক নেতা, প্রার্থী ও স্থানীয় আস্থাভাজনদের নিয়ে একাধিক বৈঠকের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, আলাপ–আলোচনার মাধ্যমে আইন ও বিধিগত দিক উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে। কারও কোনো অভিযোগ থাকলে তা অবিলম্বে তদন্ত করে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

গোলযোগ হতে পারে এমন ভোটকেন্দ্রগুলোতে বেশি পরিমাণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। পাশাপাশি প্রার্থীরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলে সে উদ্যোগও নিতে বলেছে ইসি। পরিপত্রে বলা হয়েছে, অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বা তাঁদের সমর্থকেরা যাতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলেন এবং কোনো তিক্ত, উসকানিমূলক ও ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে এমন কার্যকলাপ বা বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকেন কিংবা অর্থ, পেশীশক্তি অথবা স্থানীয় ক্ষমতা দ্বারা কেউ নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারেন এবং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বজায় রাখা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন

নির্বাচন সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচন অনুষ্ঠান যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় এবং উক্ত নিরপেক্ষতা যাতে জনগণের কাছে দৃশ্যমান হয়, তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা পর্যায়ে ও মেট্রোপলিটন এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে।

একইভাবে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে হবে। এই টিমে বেসরকারি পর্যায়ের দল নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ হয়েছে কি না—অথবা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কি না—বা নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনী ব্যয় বাবদ নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত ব্যয় করেছে কি না—অথবা অন্যান্য বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন করছে কি না— তা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, আচরণবিধিমালা ভঙ্গের কোনো বিষয় নজরে আসা মাত্রই নির্বাচনী তদন্ত কমিটিকে জানাতে হবে। অন্যান্য নির্বাচনী বিধি-নিষেধ ভঙ্গের ক্ষেত্রে মামলা দায়েরের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে ফৌজদারী আদালতেও অভিযোগ দায়ের করা যাবে। প্রয়োজনে উদ্ভূত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিরসনের পরামর্শ দেবেন। এছাড়াও স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর তিন দিন অন্তর অন্তর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে নির্দেশ দিতে হবে। প্রার্থী বা তার নির্বাচনী এজেন্ট বা তাদের পক্ষে অন্য কেউ আচরণ বিধিমালার কোনো বিধি ভঙ্গ করলে বা ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে বা বিধিমালার কোনো বিধি বিশেষ করে নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সদস্যরা সকল প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলকে এবং তাদের নির্বাচনী এজেন্টকে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিধান এবং উক্ত বিধান ভঙ্গের দায়ে প্রদেয় শাস্তি বিশেষ করে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলকরণের বিষয় অবগত করানো নিশ্চিত করতে হবে।

নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠ

পরিপত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, টিম গঠনের সাথে সাথে সদস্যদের নামের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। এই টিম নির্বাচন সংক্রান্ত আইন, বিধি, নির্বাচনী আচরণবিধি এবং নির্বাচনের সার্বিক বিষয় যথাযথ ও সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কি না—তা তদারক করবে ও প্রতিপালনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এছাড়াও নির্বাচন উপলক্ষে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন ও সুসংহত করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করতে বলা হয়েছে পরিপত্রে। এতে বলা হয়েছে, এ সেলে অন্যান্য সদস্যরা হবেন পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহযোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনোনীত কর্মকর্তারা।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করে উক্ত সেলের সদস্যদের তালিকা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে হবে। তাছাড়া এ সেল নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকল্পে সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। এই সেলও আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গৃহীত ব্যবস্থাদি ইসি সচিবালয়কে জানাবে। একইভাবে ইসি সচিবালয়ে কেন্দ্রীয় আইনশৃঙ্খলা সেল গঠন করা হবে।

গত ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কম


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420