ঢাকা ১২:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগকে সব কূলই রক্ষা করতে হবে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ২০২ বার পড়া হয়েছে

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা অবশেষে শুরু হয়ে গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সীমাহীন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পেরেছে। ২৮শে অক্টোবর যেসব পরিকল্পনা নিয়ে একটি নীলনকশা আয়োজিত হতে যাচ্ছিলো তা যদি শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাকারীদের রেখাচিত্র অনুযায়ী সংগঠিত হতো তাহলে জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফি যুগপৎ আন্দোলনকারীদের সিংহাসনে বসাতোই। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে যা ঘটেছিল তার একটি দেশি সংস্করণ ঢাকায় ২৮ তারিখের পর বাংলাদেশে ঘটতো- এতে কোনো সন্দেহ নেই। যেহেতু ঘটতে পারেনি তাই অনেকেই অনেককিছু আন্দাজ করতে পারছেন না। তবে মিয়া আরেফির প্রস্তুতি ঠিকই ছিল, তিনি উপস্থিতও ছিলেন। শুধু বিএনপির অসহিষ্ণু কর্মীরা সভা শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই এমনসব সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল যা নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ফরজ হয়ে উঠেছিল। সেটিই ঘটেছিল। ফলে জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা কিয়েভের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতার ওলটপালট করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পায়নি। তবে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীরা হরতাল-অবরোধ ডেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে যায়নি। পিটার হাস সেই প্রেক্ষাপটে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানালেও বিএনপি প্রত্যাখান করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আগেই শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলেন। বিএনপি সেটিও তখন প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের এক দাবির মধ্যে অনেক দাবি লুকিয়ে ছিল। সেই দাবি অনুযায়ী নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ ঢাকায় সরকারের পতন ঘটার কথা! সেটি ঘটলে এতদিনে বাংলাদেশে অরাজকতা, হানাহানি ইত্যাদির সুযোগে নির্বাচন-গ্যাস বেলুনে উড়ে যেত। কিন্তু সবকিছুই যখন যুগপৎ আন্দোলনকারীদের মহাযাত্রার রণধ্বনিতে জাগেনি, তখনই কেবল ডোনাল্ড লু’র চিঠি বিতরণের দায়িত্ব পালন করলেন পিটার হাস। যেদিন আওয়ামী লীগকে ডোনাল্ড লু’র পত্রবিতরণ করলেন সেদিনই তফসিল ঘোষিত হলো। ততদিনে বিএনপি নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হলেন। সহিংসতার অভিযোগে অনেকেই গ্রেপ্তার, অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেলেন। বিএনপি অনেকটা মাঠ ছাড়া। তবে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের অন্যতম একটি ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিএনপির হরতাল-অবরোধ জারি রাখছে। ঘোষিত তফসিল বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা বর্জন করে। তবে ৩০-এর অধিক নেতাকর্মী কয়েকটি জোটে বা আলাদা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের নির্বাচনটি নিয়ে এবার বিদেশিদের তৎপরতা অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। বাংলাদেশে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান, কোনো দলের প্রতি তাদের কোনো অবস্থান নেই এটি বার বার বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে তাদের যে এবারের যোগাযোগটা আলাদা এবং চোখে পড়ার মতো সেটি লুকিয়ে রাখার মতো নয়। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিনীদের ভিসানীতি, স্যাংশন ইত্যাদি এমন বহুল ভীতি প্রদর্শনকারী কথাবার্তা রাজনীতি-কূটনীতির আড়ালে-আবডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানে ২৯টি দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত বেশ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচন বয়কটের মধ্যে রয়েছে। ফলে বড়ো দল হিসেবে বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকায় আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে নেই। নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করা, অংশগ্রহণমূলক না হওয়া ইত্যাদিরূপে অভিহিত করার একটা পরিকল্পনা থেকে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের জোট অংশ নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগকে নতুন বাস্তবতায় কৌশল নির্ধারণ করতে হয়েছে। ২০১৪-এর মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে নির্বাচিত করার সুযোগটিও আওয়ামী লীগ এবার দিতে চায়নি। তবে যেভাবে নিজেদের দলীয় মনোনয়ন, ডামি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সেটি শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে যায় কি না তা নিয়ে শঙ্কা রাজনীতিসচেতন মহলের রয়েছে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে। মোট ২ হাজার ৭১৩টি মনোনয়নপত্র ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

Nagad_Ad

 

দেখাই যাচ্ছে স্বতন্ত্রের ছড়াছড়ি, বাড়াবাড়িও। ৪-ঠা ডিসেম্বর দিনশেষে জানা যাবে মোট কতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হবে তারা আপিলের সুযোগ পাবেন। সুতরাং আপিল শেষেই কেবল নির্ধারিত হবে কতজন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। কোন দল বা জোটের কয়জন প্রার্থী কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেটিও তখন আলোচনায় উঠে আসবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খুব একটা পাওয়া যেত না। দাঁড়ালেও সংখ্যায় তা খুবই সীমিত ছিল। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে দলের অন্য নেতাদেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার অনুমতি দিলে বেশ কিছু আসনে হুমড়ি খেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে অনেকেই দাঁড়িয়ে যান। প্রতিটি আসনেই জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, লিবারেল ইসলামিক জোট এবং বিএনপি ও অন্যান্য দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোথাও কোথাও তীব্র হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানে যদি আওয়ামী লীগেরই ডামি কিংবা স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট কাটাকাটিতে পড়ে অন্য দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন। আবার কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন যে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের পর বাস্তবতা যে ভিন্নতর হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একই আসনে আওয়ামী লীগের যতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই দাবি করছেন জনগণ তাকেই কেবল চায়। তিনিই কেবল সেই আসনে বিজয়লাভের জন্য যোগ্য বলে মনে করেন। জনগণের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি করে আসছেন সুতরাং জনগণ তাকেই কেবল ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে। বিভিন্ন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সব প্রার্থী এক কথাই বলেন। কিন্তু তারা একবারও ভাবছেন না যে, এক আসনে একই দলের এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলে জয়ের মালা বিরোধীদের কোনো একটি প্রতীকে নির্বাচনকারীর গলায় চলে যেতে পারে। নির্বাচনের পরেই তারা বুঝতে পারবেন তারা আসলে যে ধারণা করেছেন, বাস্তবের সঙ্গে মিল খুব একটা খুঁজে অনেকেই পাবেন না। কিন্তু অনেকেই এখন এটা বুঝতে চাইবেন না। এই অভিজ্ঞতাটি আওয়ামী লীগের শেষ পর্যন্ত নেওয়া উচিত হবে কি না সেটি ভাববার বিষয়। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রার্থী বেশি হওয়ার চাইতে জনপ্রিয় সীমিত সংখ্যক প্রার্থী থাকাই উত্তম। কোনো আসনে ১০-১২ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই দূরের ভোটাররা চেনেন না, জানেন না কিংবা সেই মার্কা বা প্রতীক সম্পর্কেও আগ্রহী নন। সেরকম প্রার্থী বেশি হলে ভোটারের উপস্থিতি খুব বেশি বাড়ার কারণ নেই। বরং আসনজুড়ে পরিচয় রয়েছে, মানুষের কাছে সেই প্রার্থীর প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২-৩ জন হলেও ভোটারের উপস্থিতি ভালো হতে পারে। এটা নির্ভর করবে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচয় এবং ভাবমূর্তির ওপর । এর সঙ্গে বাড়তি যেটি যোগ হবে তা হলো কর্মীরা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার ক্ষেত্রে তৎপর থাকেন তাহলে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে পারে। এবারে নির্বাচনে যেহেতু ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী থাকবে না। ফলে জামায়াত-বিএনপির একান্ত ভোটার যারা, তারা ভোটে আসবেন না এটি ধরেই নেওয়া যায়। তবে ভোটারদের মধ্যে যারা কট্টর নন তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে ততটা গোঁড়ামি নাও দেখাতে পারেন। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ভোটারের উপস্থিতি শহরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছড়াছড়ি যেখানে থাকবে সেখানে ভরাডুবির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি সেটি ১৭ তারিখের আগে চটজলদি জরিপ করে দলটি যদি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে তাহলে সেই প্রার্থীকে রেখে অন্যদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে। জানিয়ে দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। তা নাহলে পরাজয়ের ঝুঁকি আওয়ামী লীগের আসনগুলোতে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সেকারণে আওয়ামী লীগের এখনই আসন ধরে ধরে দলীয় মনোনীত ও স্বতন্ত্র এবং বিরোধী প্রার্থীর অবস্থার তুলনামূলক যাচাইবাছাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না করা হলে কোথাও কোথাও হিতে বিপরীত হতে পারে। সবচাইতে আশঙ্কার কারণ হতে পারে দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার। একই আসনে যতবেশি স্বতন্ত্র ও ডামি এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন করবে, তত বেশি তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হবে। কর্মীসমর্থকদের মধ্যেও গ্রুপিং বেড়ে যাবে। নিকট অতীতের অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা মনে রেখেই আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তাতে নির্বাচন এবং দলের সংহতি হয়তো ঠিক থাকতে পারে। আবার অন্যদিকে নির্বাচনে ভোটার টানার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে দলের যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখা দরকার হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বার্তাটি দেওয়া দরকার তা হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে কোথাও যেন নিজদল কিংবা অন্যদল অথবা স্বতন্ত্র কেউ বাড়াবাড়ি না করে। সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনটি যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত করতেই হবে। বিরোধীদের সঙ্গে কর্মীরা কোনোভাবেই বিরোধ বা সংঘর্ষে যাতে জড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারেও কড়া নির্দেশনা থাকা দরকার।

 

১৪ দলের প্রার্থীদের নিয়ে কীভাবে সমঝোতা হবে সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক দলই বিজয়লাভের ব্যাপারে বাড়তি সমর্থন ও সুবিধা পাওয়ার আশা করার কথাও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তো হবে গোপন ব্যালটে। সেখানে ভোটারদের রায়ের প্রতিফলনই সবার মেনে নেওয়ার মনোবৃত্তি থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচনটি একদিকে সংবিধান রক্ষা অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য চরিত্র দান করা, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে দেশে ও বিদেশে যেন কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সব বৈধ কূলই আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে হবে, অবৈধ অন্যায় আবদার কারো জন্য সুখের হয় না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন আগামী দিনে সাংবিধানিক ধারার নির্বাচন ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়- সেটিই মনে রাখতে হবে। সুত্র: ঢাকা টাইমস

লেখক: মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। 

ট্যাগস :
আপলোডকারীর তথ্য

কামাল হোসাইন

হ্যালো আমি কামাল হোসাইন, আমি গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছি। ২০১৭ সাল থেকে এই পত্রিকার সাথে কাজ করছি। এভাবে এখানে আপনার প্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবেন।
জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগকে সব কূলই রক্ষা করতে হবে

আপডেট সময় ০৬:৩৫:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের যাত্রা অবশেষে শুরু হয়ে গেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সীমাহীন বাধাবিপত্তি উপেক্ষা করেই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করতে পেরেছে। ২৮শে অক্টোবর যেসব পরিকল্পনা নিয়ে একটি নীলনকশা আয়োজিত হতে যাচ্ছিলো তা যদি শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাকারীদের রেখাচিত্র অনুযায়ী সংগঠিত হতো তাহলে জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মিয়া আরেফি যুগপৎ আন্দোলনকারীদের সিংহাসনে বসাতোই। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে যা ঘটেছিল তার একটি দেশি সংস্করণ ঢাকায় ২৮ তারিখের পর বাংলাদেশে ঘটতো- এতে কোনো সন্দেহ নেই। যেহেতু ঘটতে পারেনি তাই অনেকেই অনেককিছু আন্দাজ করতে পারছেন না। তবে মিয়া আরেফির প্রস্তুতি ঠিকই ছিল, তিনি উপস্থিতও ছিলেন। শুধু বিএনপির অসহিষ্ণু কর্মীরা সভা শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই এমনসব সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছিল যা নিয়ন্ত্রণ করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য ফরজ হয়ে উঠেছিল। সেটিই ঘটেছিল। ফলে জো বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা কিয়েভের মতো বাংলাদেশে ক্ষমতার ওলটপালট করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পায়নি। তবে বিএনপি এবং যুগপৎ আন্দোলনকারীরা হরতাল-অবরোধ ডেকে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরিস্থিতি তাদের অনুকূলে যায়নি। পিটার হাস সেই প্রেক্ষাপটে শর্তহীন সংলাপের আহ্বান জানালেও বিএনপি প্রত্যাখান করেছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আগেই শর্তহীন আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিলেন। বিএনপি সেটিও তখন প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের এক দাবির মধ্যে অনেক দাবি লুকিয়ে ছিল। সেই দাবি অনুযায়ী নভেম্বর মাসের ৩ তারিখ ঢাকায় সরকারের পতন ঘটার কথা! সেটি ঘটলে এতদিনে বাংলাদেশে অরাজকতা, হানাহানি ইত্যাদির সুযোগে নির্বাচন-গ্যাস বেলুনে উড়ে যেত। কিন্তু সবকিছুই যখন যুগপৎ আন্দোলনকারীদের মহাযাত্রার রণধ্বনিতে জাগেনি, তখনই কেবল ডোনাল্ড লু’র চিঠি বিতরণের দায়িত্ব পালন করলেন পিটার হাস। যেদিন আওয়ামী লীগকে ডোনাল্ড লু’র পত্রবিতরণ করলেন সেদিনই তফসিল ঘোষিত হলো। ততদিনে বিএনপি নেতাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হলেন। সহিংসতার অভিযোগে অনেকেই গ্রেপ্তার, অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেলেন। বিএনপি অনেকটা মাঠ ছাড়া। তবে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের অন্যতম একটি ৭ দলীয় জোট প্রেসক্লাবের সম্মুখে বিএনপির হরতাল-অবরোধ জারি রাখছে। ঘোষিত তফসিল বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনকারীরা বর্জন করে। তবে ৩০-এর অধিক নেতাকর্মী কয়েকটি জোটে বা আলাদা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।

বাংলাদেশের নির্বাচনটি নিয়ে এবার বিদেশিদের তৎপরতা অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কথা ও কাজের মধ্যে মিল নেই। বাংলাদেশে তারা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চান, কোনো দলের প্রতি তাদের কোনো অবস্থান নেই এটি বার বার বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিএনপির সঙ্গে তাদের যে এবারের যোগাযোগটা আলাদা এবং চোখে পড়ার মতো সেটি লুকিয়ে রাখার মতো নয়। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে মার্কিনীদের ভিসানীতি, স্যাংশন ইত্যাদি এমন বহুল ভীতি প্রদর্শনকারী কথাবার্তা রাজনীতি-কূটনীতির আড়ালে-আবডালে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমাদানে ২৯টি দলের প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। বিএনপি এবং এর জোটভুক্ত বেশ কয়েকটি দলের প্রার্থীরা নির্বাচন বয়কটের মধ্যে রয়েছে। ফলে বড়ো দল হিসেবে বিএনপির অংশগ্রহণ না থাকায় আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনে নেই। নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করা, অংশগ্রহণমূলক না হওয়া ইত্যাদিরূপে অভিহিত করার একটা পরিকল্পনা থেকে যুগপৎ আন্দোলনকারীদের জোট অংশ নেয়নি। ফলে আওয়ামী লীগকে নতুন বাস্তবতায় কৌশল নির্ধারণ করতে হয়েছে। ২০১৪-এর মতো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে নির্বাচিত করার সুযোগটিও আওয়ামী লীগ এবার দিতে চায়নি। তবে যেভাবে নিজেদের দলীয় মনোনয়ন, ডামি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে সেটি শেষ পর্যন্ত বুমেরাং হয়ে যায় কি না তা নিয়ে শঙ্কা রাজনীতিসচেতন মহলের রয়েছে। এরই মধ্যে মনোনয়নপত্র বাছাই শেষ হয়েছে। মোট ২ হাজার ৭১৩টি মনোনয়নপত্র ৩০শে নভেম্বরের মধ্যে জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

Nagad_Ad

 

দেখাই যাচ্ছে স্বতন্ত্রের ছড়াছড়ি, বাড়াবাড়িও। ৪-ঠা ডিসেম্বর দিনশেষে জানা যাবে মোট কতজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হবে তারা আপিলের সুযোগ পাবেন। সুতরাং আপিল শেষেই কেবল নির্ধারিত হবে কতজন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন। কোন দল বা জোটের কয়জন প্রার্থী কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করবে সেটিও তখন আলোচনায় উঠে আসবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একসময় স্বতন্ত্র প্রার্থী খুব একটা পাওয়া যেত না। দাঁড়ালেও সংখ্যায় তা খুবই সীমিত ছিল। কিন্তু এবার আওয়ামী লীগ নির্বাচনটিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করার জন্য দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে দলের অন্য নেতাদেরও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার অনুমতি দিলে বেশ কিছু আসনে হুমড়ি খেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী পদে অনেকেই দাঁড়িয়ে যান। প্রতিটি আসনেই জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম, লিবারেল ইসলামিক জোট এবং বিএনপি ও অন্যান্য দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। অন্যান্য দলের প্রার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোথাও কোথাও তীব্র হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সেখানে যদি আওয়ামী লীগেরই ডামি কিংবা স্বতন্ত্র একাধিক প্রার্থী থাকেন তাহলে আওয়ামী লীগের ভোট কাটাকাটিতে পড়ে অন্য দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়ে আসতে পারেন। আবার কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জয়লাভের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্রের ছড়াছড়ির কারণে ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারে। এখন যে ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের পর বাস্তবতা যে ভিন্নতর হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। একই আসনে আওয়ামী লীগের যতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকেই দাবি করছেন জনগণ তাকেই কেবল চায়। তিনিই কেবল সেই আসনে বিজয়লাভের জন্য যোগ্য বলে মনে করেন। জনগণের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন থেকে রাজনীতি করে আসছেন সুতরাং জনগণ তাকেই কেবল ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছে। বিভিন্ন টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে সব প্রার্থী এক কথাই বলেন। কিন্তু তারা একবারও ভাবছেন না যে, এক আসনে একই দলের এত বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকলে জয়ের মালা বিরোধীদের কোনো একটি প্রতীকে নির্বাচনকারীর গলায় চলে যেতে পারে। নির্বাচনের পরেই তারা বুঝতে পারবেন তারা আসলে যে ধারণা করেছেন, বাস্তবের সঙ্গে মিল খুব একটা খুঁজে অনেকেই পাবেন না। কিন্তু অনেকেই এখন এটা বুঝতে চাইবেন না। এই অভিজ্ঞতাটি আওয়ামী লীগের শেষ পর্যন্ত নেওয়া উচিত হবে কি না সেটি ভাববার বিষয়। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রার্থী বেশি হওয়ার চাইতে জনপ্রিয় সীমিত সংখ্যক প্রার্থী থাকাই উত্তম। কোনো আসনে ১০-১২ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককেই দূরের ভোটাররা চেনেন না, জানেন না কিংবা সেই মার্কা বা প্রতীক সম্পর্কেও আগ্রহী নন। সেরকম প্রার্থী বেশি হলে ভোটারের উপস্থিতি খুব বেশি বাড়ার কারণ নেই। বরং আসনজুড়ে পরিচয় রয়েছে, মানুষের কাছে সেই প্রার্থীর প্রতি আগ্রহ রয়েছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ২-৩ জন হলেও ভোটারের উপস্থিতি ভালো হতে পারে। এটা নির্ভর করবে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচয় এবং ভাবমূর্তির ওপর । এর সঙ্গে বাড়তি যেটি যোগ হবে তা হলো কর্মীরা যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আনার ক্ষেত্রে তৎপর থাকেন তাহলে ভোটারের উপস্থিতি বাড়তে পারে। এবারে নির্বাচনে যেহেতু ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী থাকবে না। ফলে জামায়াত-বিএনপির একান্ত ভোটার যারা, তারা ভোটে আসবেন না এটি ধরেই নেওয়া যায়। তবে ভোটারদের মধ্যে যারা কট্টর নন তারা ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে ততটা গোঁড়ামি নাও দেখাতে পারেন। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে ভোটারের উপস্থিতি শহরের তুলনায় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছড়াছড়ি যেখানে থাকবে সেখানে ভরাডুবির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে কার গ্রহণযোগ্যতা বেশি সেটি ১৭ তারিখের আগে চটজলদি জরিপ করে দলটি যদি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে তাহলে সেই প্রার্থীকে রেখে অন্যদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারে। জানিয়ে দিলে বিজয়ের সম্ভাবনা দেখা যেতে পারে। তা নাহলে পরাজয়ের ঝুঁকি আওয়ামী লীগের আসনগুলোতে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিও উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সেকারণে আওয়ামী লীগের এখনই আসন ধরে ধরে দলীয় মনোনীত ও স্বতন্ত্র এবং বিরোধী প্রার্থীর অবস্থার তুলনামূলক যাচাইবাছাই করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না করা হলে কোথাও কোথাও হিতে বিপরীত হতে পারে। সবচাইতে আশঙ্কার কারণ হতে পারে দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার। একই আসনে যতবেশি স্বতন্ত্র ও ডামি এবং দলীয় মনোনীত প্রার্থী নির্বাচন করবে, তত বেশি তাদের মধ্যে বিরোধ তৈরি হবে। কর্মীসমর্থকদের মধ্যেও গ্রুপিং বেড়ে যাবে। নিকট অতীতের অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা মনে রেখেই আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। তাতে নির্বাচন এবং দলের সংহতি হয়তো ঠিক থাকতে পারে। আবার অন্যদিকে নির্বাচনে ভোটার টানার বিষয়টিও বিবেচনায় রেখে দলের যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাখা দরকার হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে যে বার্তাটি দেওয়া দরকার তা হচ্ছে নির্বাচন নিয়ে কোথাও যেন নিজদল কিংবা অন্যদল অথবা স্বতন্ত্র কেউ বাড়াবাড়ি না করে। সে ব্যাপারেও সতর্ক করে দেওয়া অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। নির্বাচনটি যেকোনো মূল্যে সুষ্ঠু, অবাধ ও সন্তোষজনক ভোটার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত করতেই হবে। বিরোধীদের সঙ্গে কর্মীরা কোনোভাবেই বিরোধ বা সংঘর্ষে যাতে জড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারেও কড়া নির্দেশনা থাকা দরকার।

 

১৪ দলের প্রার্থীদের নিয়ে কীভাবে সমঝোতা হবে সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আবার নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক দলই বিজয়লাভের ব্যাপারে বাড়তি সমর্থন ও সুবিধা পাওয়ার আশা করার কথাও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন তো হবে গোপন ব্যালটে। সেখানে ভোটারদের রায়ের প্রতিফলনই সবার মেনে নেওয়ার মনোবৃত্তি থাকতে হবে। আওয়ামী লীগের জন্য আগামী নির্বাচনটি একদিকে সংবিধান রক্ষা অন্যদিকে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য চরিত্র দান করা, দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নিয়ে দেশে ও বিদেশে যেন কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে সেদিকেও মনোযোগ দিতে হবে। সব বৈধ কূলই আওয়ামী লীগকে রক্ষা করতে হবে, অবৈধ অন্যায় আবদার কারো জন্য সুখের হয় না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন আগামী দিনে সাংবিধানিক ধারার নির্বাচন ব্যবস্থার পথ উন্মুক্ত করে দেয়- সেটিই মনে রাখতে হবে। সুত্র: ঢাকা টাইমস

লেখক: মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। 


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/youthbangla24/public_html/wp-includes/functions.php on line 5420